ভিডিও

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে বগুড়াসহ সারাদেশ

আট বিভাগেই বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ০৭:১৫ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ১১:১৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

হাফিজা বিনা : মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস অবস্থা বগুড়াসহ সারাদেশের মানুষের। দরদরিয়ে শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। ভোরের আলো ফোটার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্য যেন ফুটন্ত কড়াই। ঘরে-বাইরে অসহনীয় হয়ে উঠছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে গরম কমার কোনো পূর্বাভাস নেই। বরং এপ্রিলজুড়েই গরমে এমন নাভিশ্বাস উঠবে।

সাথে হতে পারে বৃষ্টিও। এরই মধ্যে দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন জেলার বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাই এসব এলাকায় তাপদাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বগুড়ার তাপমাত্রা উঠেছে ৩৮দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দিন এবং রাতের মধ্যে তাপদাহের পার্থক্য কমে কঠিন হয়ে পড়েছে জনজীবন।

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়ছে। সকাল থেকেই তাপ ছড়াতে শুরু করে সূর্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা বাড়তেই থাকে। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস জনজীবনে। আর এমন গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দেশে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

তাপদাহের পারদ চড়ার ধরণ দেখে আবহাওয়াবিদরা বলছেন প্রতি বছরই এপ্রিল মাসে দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও একটি-দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এরমধ্যে গত বছরের এপ্রিলে সারাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে একটানা ২০ থেকে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল।

তবে তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। মার্চের শুরু থেকেই পড়ি কি মরি করে উঠতে শুরু করেছিল পারদ। তারপর থেকে দিনের তাপমাত্রা  শুধু বাড়ছেই। তীব্র গরমে রাতে ঘুমাতেও পারছেন না অনেকে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগে আছে বেশি।

এরই মধ্যে অনেক এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপ ও সেচযন্ত্রে পানি উঠছে না । অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং গরমের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী  বৃষ্টিহীনতায় কৃষি ও মাছ চাষ নিয়ে চিন্তিত চাষীরা। এছাড়া গরমে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগব্যাধি।

চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।  কিন্তু কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে গেছে। খেটে খাওয়া মানুষ  ও পথচারীরা গাছের ছায়ায় খোলা জায়গাতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। তবে এই তাপদাহে ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। সবকিছু তেতে আছে। দিনের পর দিন কড়া রোদ আর প্রচন্ড গরমে রুক্ষ হয়ে পড়ছে মাঠ-ঘাট প্রান্তর।

নদনদী-খালবিল শুকিয়ে গেছে। খরায় আম, কাঠাল,ও লিচুসহ ঝরে যাচ্ছে মৌসুমী ফল। আক্ষরিক অর্থেই রুদ্ররূপ ধারণ করেছে প্রকৃতি। বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায় আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বগুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল  ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

গতকাল সোমবার ছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনেও দেখা মিলবে না কাঙ্খিত বৃষ্টির। সবমিলিয়ে প্রচন্ড গরম আর তাপদাহ সহ্য করতে হবে বগুড়াসহ পুরো উত্তরাঞ্চল ও প্রাণিক’লকে, এমনটাই জানিয়েছে আবাহাওয়া অফিস।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS